ড. খলিলুর রহমান মাদানী

রোযার মাধ্যমে কাফফারা আদায় হবে কি

প্রশ্ন                                                                                                  

আমি একবার কসম করে তা ভঙ্গ করি। কাফফারা স্বরূপ তিনটি রোযা রাখি। জানতে চাচ্ছি, আমার কাফফারা কি আদায় হয়েছে?

উত্তর                                                                                                

بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما

কেউ যদি কসম করে ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার কাফফারা দিতে হয়। কসমের কাফফারা হল, ১০ জন গরীব লোককে দুবেলা তৃপ্তির সাথে খাওয়ানো। অথবা তাদের প্রত্যেককে এক জোড়া কাপড় দেওয়া। যদি তা না পারে তাহলে তিন দিন রোজা রাখা। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,

﴿فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ﴾ 

‘শপথ ভঙ্গের কাফফারা হল তোমরা তোমাদের পরিবারকে যা খাওয়াও তার মধ্যম পন্থায় দশ জন মিসকীনকে খাবার খাওয়ানো, অথবা তাদেরকে পোশাক দেওয়া অথবা একটি গোলাম আজাদ করা। আর যে তা না পারবে তার জন্য তিন দিন রোজা রাখা। [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৮৯]

শুরুতেই তিনদিন রোজা রাখা যাবে না। বরং কসমের কাফফারা স্বরূপ ১০ জন গরীব লোককে দুবেলা তৃপ্তির সাথে খাওয়াতে হবে। অথবা তাদের প্রত্যেককে এক জোড়া কাপড় দিতে হবে। যদি এটিতে কেউ সক্ষম না হয়, তাহলে কেবল তিনদিন রোজা রাখা যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে, ইবনে আব্বাস (রা.) কাফফারার উক্ত আয়াত সম্পর্কে বলেন,

‌هُوَ ‌الْخِيَارُ ‌فِي ‌هَؤُلَاءِ ‌الثَّلَاثِ ‌الْأُوَلِ، فَإِنْ لَمْ يَجِدْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مُتَتَابِعَاتٍ

‘কাফফারার প্রথম দুইটি বিষয়ে ব্যক্তির স্বাধীনতা রয়েছে। যদি সেই দু’টি পালনে সক্ষম না হয় তাহলে লঅগাতার তিনদিন রোজা রাখতে হবে।’ [সুনানে সুগরা, বায়হাকী, হাদিস: ৩১৮২]

কাজেই আপনার যদি ১০ জন গরীব লোককে দুবেলা তৃপ্তির সাথে খাওয়ানো কিংবা তাদের প্রত্যেককে এক জোড়া কাপড় দেওয়ার সামর্থ্য থাকে তাহলে রোযার মাধ্যমে কাফফারা আদায় শুদ্ধ হয়নি। পুনরায় কাফফারা আদায় করতে হবে।

আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

و الله تعالى أعلم بالصواب

وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم