বিশ্ব_মা’_দিবস :পৃথিবীতে মায়ের সন্তানাদির এতই ব্যস্ততা!
#বিশ্ব_মা’_দিবস আজ।পৃথিবীতে মায়ের সন্তানাদি নাকি এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, তাদের হাতে মায়ের সেবা করার মত ও মায়ের পাশে থাকার মত কোন সময় নেই। অবশ্য অন্য কিছুর জন্য তাদের যথেষ্ট সময় থাকে! তাই প্রয়োজন হয়েছে একটি দিবসের। কারণ বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে একটি দিনও যদি মায়ের জন্য নির্দিষ্ট না করা যায় তো, লোকেরা কী বলবে?! জগত কী ভাববে?! মায়ের সম্মানের কী হবে?! জননীর ঋণ শোধ হবে কী ভাবে?অথচ ইসলামের বিধান হলো: " গায়ের চামড়া দিয়ে মায়ের জুতা বানিয়ে দিলেও একফোটা দুধের বদলা হয়না"।"
মা যখন কাছে ছিলাম তখন ছোট ছিলাম, আদর যত্ন করেছ ভালবাসা দিয়ে বড় করেছ তুমি তোমার দায়িত্ব পালন করেছ। কিন্তুু যখন আমার দায়িত্ব আসল তখন তোমাকে ছেড়ে আমি অনেক দুরে মা............. আমি স্বার্থপর মা..... মা আমি স্বার্থপর..... ক্ষমা কর মা আমায়। আমি যখন মা বা বাবা তখন আমার মাকে ভূলতে বসেছি।আহ্! আফসোস"
..ছোট থেকে সবাই কতই না বকুনি খেয়েছি মায়ের কাছে। কখনো মনে হয়েছে "ধ্যাত, বাসা ছেড়েই চলে যাবো!" -- আবার কখনো মনে হয়েছে মায়ের মত নিষ্ঠুর আর কেউ হতে পারে না! কিন্তু মা যেমন বকতে জানে সবার থেকে বেশি, ভালোবাসতেও জানে সবার থেকে অনেক অনেক বেশি।
বলো-وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا হে আমার মালিক! তাঁরা (অর্থাৎ পিতা মাতা) শৈশবে আমাকে যেভাবে স্নেহ-যতে লালন-পালন করেছেন, তুমিও তাঁদের প্রতি সেভাবে সদয় হও’। (সুরা-বনী ইসলাঈল-২৩-২৪) মহানবী মুহাম্মদ (সা.) বলেন-‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত’-(সুনান:সহীহ:৩২০২) তিনি আরো বলেন:
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: إنَّ اللّهَ حَرَّمَ عَلَيْكم عُقُوق الأمهات، المتفق عليه،
"নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা পিতা-মাতার অবাধ্য তাকে চিরতরে হারাম করেছেন।"বুখারী মুসলিম
لاَ يَدْخُلُ الْجَنّةَ مَنّانٌ وَلاَ عَاقّ وَلاَ مُدْمِنُ خَمْرٍ.
"কোটা দানকারী পিতা মাতার অবাধ্য সন্তান এবং মদ পানকারীই কখনো জান্নাতে যাবে না।-আহমদ, নাসাঈ
قال: هما جنتك ونارك
. ”বাবা-মা তোমার জান্নাত-জাহান্নামের নিশ্চিত গ্রান্টি,,।(বুখারী ২/১৩৫)
★একদিন ৭ বছরের এক বালক তার আম্মুকে বললো, আম্মু! আমাকে আগামী বছর ঈদে কি দিবে???আম্মু বললেন, এখনো তো অনেক সময় আছে... দেখা যাক...ছেলেটি ঈদের কিছুদিন আগেই হটাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলো।
দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো। ডাক্তার ছেলেটিকে পরীক্ষা করে ছেলেটির মা ও বাবাকে বললো, আপনার ছেলের হার্টে একটি ছিদ্র ধরা পড়েছে।
দ্রুত হার্ট পরিবর্তন না করলে তাকে বাচাঁনো যাবে না।
যখন মা ছেলেটিকে দেখতে গেলো, ছেলেটি তার মাকে বললো, আম্মু!
আমি কি মারা যাবো???মা বললেন, না, তুমি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে। ইনশাআল্লাহ।
আম্মু! তুমি কিভাবে জানো?
ডাক্তার আমাদেরকে বলেছে।আব্বু তুমি চিন্তা করনা। আমি জানি আব্বু, তুমি অবশ্যই সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। ছেলেটি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর ঈদের দিন সুস্থ হয়ে বাসায় আসলো। বাসায় আসার পরে, তার বাবা তাকে একটি চিঠি পড়তে দিলো। চিঠিটা ছেলের মায়ের লেখা।
#মায়ায় ভরা মা-একটি ঘটনা
★প্রিয় আব্বু আমার এই চিঠি! তুমি যখন পড়ছো, তার অর্থ হলো সব কিছু ভালো ভাবেই হয়েছে এবং তুমি সুস্থ আছো মহান আল্লাহ তায়ালার অপার মহিমায়, যেমনটি আমি বলেছিলাম।
মনে আছে বাছাধন?একদিন তুমি প্রশ্ন করেছিলে, আগামী ঈদে তোমাকে কি উপহার দিবো। তখন আমি জানতাম না কি দিবো। কিন্তু যখন তুমি অসুস্থ হয়ে পড়লে, তখনই আমি বুঝলাম তোমাকে আমি কি দিত পারি!কারণ ইতিপূর্বেও আমাকে একটি হার্ট কেটে ফেলতে হয়েছিল। দ্বিতীয়টি তোমাকে দান করেই আমি মহান আল্লাহ্ র কাছে আছি।
তাই তোমার জন্যে আমার উপহার, আমার একমাত্র হার্ট। আমি তোমাকে এর থেকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমার ছেলেটা বেচে আছে আমার জীবনের বিনিময়ে। তুমি মন ভরে ডাকো মা মা মা।
সন্তানের জন্য মায়ের ভালোবাসা আর আত্মত্যাগ কখনো কোনো বস্তুগত দ্রব্যের সাথে তুলনীয় না। একটি মা মাকড়সা যখন ডিম দেয় তখন সে ডিমগুলো অন্য প্রাণী খেয়ে ফেলার ভয়ে নিজের বুকের সাথে আঁকড়ে ধরে রাখে, একসময় ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় এবং বাচ্চারা মায়ের রক্ত মাংস খেয়ে খেয়ে বড় হয় অবশেষে মাকে খোসায় পরিণত করে। আমাদের মা ও আমাদের জন্য এত বেশি কষ্ট সহ্য করেন তা ওই মাকড়সার রক্ত খেয়ে বেঁচে ওঠা সন্তানদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। সব সময় সন্তানের সংকট মানে মায়ের চোখে ঘুম নেই।!!!!
মা শব্দটি যেমন অতি প্রিয় শব্দ তেমনি যেন তা আমাদের কাজের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়। কৃত্রিমতা নয়; ভালবাসতে হবে হৃদয়ের একান্ত গহীন থেকে। ভালবাসতে হবে একদিনে জন্য নয়: বরং প্রতিদিন ও সার্বক্ষণিক ভাবে। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমরা যেন পিতা মাতার খেদমত করে জান্নাত হাসিল করার সৌভাগ্য অর্জন করি।আমিন।
Dr. Khalilur Rahman Madani · toosepdrnSt1482234h 2,tf09204aMa1h7c6f2m0agt12iuuy9ic l0mc7f ·
========================================== আহারে! আরেক নরপশু ও তার বউ মিলে তার জন্মদাত্রী মাকে বাসে তুলে দিয়ে বলল যাও যতদূর চোখ যায় সেখানে চলে যাও! ওই নরপশু, কান্ডজ্ঞানহীন সন্তান ও তার বউ যে অমার্জনীয় মহা অপরাধ করেছে এর বিনিময়ে দুনিয়া ও আখেরাতের তাদের জন্য রয়েছে চরম চরম জঘন্য পরিণতি ও কঠিন শাস্তি। বিস্তারিত কমেন্টসে।https://www.news24bd.tv/details/141197
Ribeng Bhante · collected
Follow






১৪/০৫/২০২৩ইং,
মে মাসে ২য় রোববার।


‘মা’ কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই,
ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই।’

" মাতা যথা নিযং পুত্তং আযুসা একপুত্তমনুরক্খে,
এবম্পি সব্বভূতেসু, মানসং ভাবযে অপরিমাণং।"



‘আমাকে একটি ভালো মা দাও, আমি তোমাদের একটি ভালো জাতি উপহার দেব।’

সন্তানের কাছে মা-ই হলেন জগতের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। তাই মায়ের সাথে সর্বদা সম্মানজনক ও সহযোগিতামূলক ব্যবহার করতে হবে। তাঁর সঙ্গে কখনও কর্কশ ভাষায় কথা বলা উচিত নয়। মায়ের অবাধ্যতা অমার্জনীয় অপরাধ। মায়ের আদেশ পালন করা এবং তাঁর নির্দেশ মেনে চলা সন্তানের পবিত্র কর্তব্য। মায়ের সন্তুষ্টির দিকে সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, মায়ের সন্তুষ্টি লাভের মধ্যে সন্তানের জীবনের সাফল্য নির্ভর করে। সাধ্যমত তাকে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সেবা করা উচিত। এছাড়া মা কোন কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে যত্ন সহকারে তাঁর সেবা-শুশ্রুষা করা সন্তানের একান্ত কর্তব্য। বৃদ্ধ বয়সে তিনি যাতে নিরাশ্রয় ও অসহায় অবস্থায় পতিত না হন, এজন্য বৃদ্ধ বয়সে মায়ের যথাযথ সেবা-যত্ন ও তত্ত্বাবধান করা ছেলে-মেয়েদের অন্যতম দায়িত্ব। তাছাড়া বৃদ্ধ বয়সে মায়ের ভরণ-পোষণের দায়িত্বও সন্তানের পালন করতে হবে এবং তার যাবতীয় সেবা-যত্ন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, বিশ্রাম ও বিনোদনের সুব্যবস্থা করা উচিত। মোটকথা মাকে অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান, আচার ব্যবহারে সন্তুষ্ট রাখা এবং তাঁর সেবা-শুশ্রুষায় এগিয়ে আসা সন্তানের কর্তব্য।




‘আমি যা কিছু পেয়েছি, যা কিছু হয়েছি অথবা যা হতে আশা করি তার জন্য আমি আমার মায়ের কাছে ঋণী।’

কিন্তু! আজকের নতুন প্রজন্ম বাবা-মায়ের গুরুত্ব বোঝে না, অনেকে বুঝতেও চায় না। তারা মা-বাবার পরম স্নেহ ও যত্নে বড় হয়ে যখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হয়, তখন তারা বাবা-মাকেই বোঝা মনে করতে শুরু করে। নিজেদের কাছ থেকে বাবা-মাকে দূরে সরাতে থাকে। সন্তানের কাছে বৃদ্ধ বাবা-মা হয়ে যান আগের যুগের, বেমানান। শেষবয়সী বাবা-মাকে তারা রেখে আসে বৃদ্ধাশ্রমে। ইদানিং আমাদের দেশের শহরের তথাকর্থিত আধুনিক শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে এরকম কালচার শুরু হয়েছে। এটা খুব দু:খজনক এবং অন্যায়। সব সন্তানকেই মায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। যদি ফকির আলমগীরের সেই গানের ভাষায় বলি---
‘মায়ের এক ধার দুধের দাম,
কাটিয়া গায়ের চাম;
পাপোস বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না।’
মায়ের দুধের ঋণ কোনো কিছুর বিনিময়েই শোধ করা সম্ভব নয়। তাই কোনো কারণে, কোনভাবেই মায়ের মনে কষ্ট দেয়া উচিত নয়।












































বিষয়সমূহ
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ
সহিহ হাদীস
হাদীস শাস্ত্রের বিবিধ বিদ্যা
হাদীসের পরিভাষা (মুস্তালাহুল হাদীস)
মুসাফিরের নামাজ
ইতিকাফ
চাঁদ দেখে রোজা রাখা এবং ছাড়া
যে দিনগুলোতে রোজা রাখা নিষিদ্ধ
হজ্ব ফরয হওয়ার শর্তাবলী
ইহরাম
শ্রমিক ও মজুরি
হালাল উপার্জন ও পেশাসমূহ
লটারী
স্বামী-স্ত্রীর অধিকার
গণীমত
মদ বা মাদকদ্রব্য ব্যবহার ও নেশা
ফরজ যাকাত আদায় না করা
পোষাক-পর্দা ও দেহসজ্জা
পোশাক পরিচ্ছদের বিধিবিধান
ইসলামী আখলাক বা ব্যক্তিত্ব
তাক্বওয়া (আল্লাহ ভীতি)