মহানবী (সাঃ) এর শারীরিক কাঠামো ও দৈহিক সৌন্দর্য।
মহানবী (সাঃ) এর শারীরিক কাঠামো ও দৈহিক সৌন্দর্য।
প্রাথমিক কথাঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মহামানব আমাদের প্রিয় রাসুল বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা.) এর শারীরিক গঠন-প্রকৃতি ও দৈহিক সৌন্দর্য সকল দিক থেকে পূর্ণতা পেয়েছিল । যেমনিভাবে তিনি চারিত্রিক দিক থেকে ছিলেন সুমহান চরিত্রের অধিকারী- তাঁর সমকক্ষ কেউ ছিল না, দৈহিক গঠন ও সৌন্দর্যের দিক থেকেও তিনি ছিলেন তুলনাহীন । আল্লাহ তাআলার বাণী- “নিশ্চয় আপনি সুমহান চরিত্রের উপর সুপ্রতিষ্ঠিত। (সুরা ক্বলাম-০৪)
আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কে বহু সংখ্যক সাহাবী অনেক চমকপ্রদ বিবরণ দিয়েছেন। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা সর্বোত্তম গঠনপ্রণালিতে মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। সমস্ত সৃষ্টির ওপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। আর সৃষ্টিজগতের শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি হলেন নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
সৌন্দর্যের সকল দিক যেন পূর্ণতা পেয়েছিল তাঁর মাঝে। আসুন, জেনে নিই কেমন ছিল নবীজির (সা.) শারীরিক গঠন-প্রকৃতি-
ফলে পৃথিবীর মহা মানব হিসেবে কেমন ছিল তাঁর দৈহিক সৌন্দর্য এবং গঠন।
- মহানবী (সাঃ)র দৈহিক সৌন্দর্য এবং কাঠামো:
- মহানবী (সাঃ)র চেহারা : রাসুল (সা.)-এর চেহারা ছিল খুবই লাবণ্যময় ও নূরানি। পূর্ণিমার চাঁদের মতো ঝকঝকে। দুধে আলতা মিশ্রণ করলে যে রং হয়, রাসুল (সা.)-এর গায়ের রং তেমনি ছিল।
- মহানবী (সাঃ)র আকার : খুব লম্বাও নন, খুব বেঁটেও নন, মধ্যম আকৃতির।তাঁর আগে ও পরে কখনো তাঁর মতো সুপুরুষ দুনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেননি।
- বিশ্বনবী (সাঃ) র দেহ ছিল খুব আকর্ষণীয়,ছিলেন গৌরবর্ণের:
- প্রশস্ত মুখ,ডাগর চক্ষু এবং সরু গোড়ালি বিশিষ্ট : সাহাবী আলী রা বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চোখ কালো এবং লম্বা পলক ছিল।
- নাক মোবারকের বর্ণনা দিতে গিয়ে হিন্দ ইবনে আবী হালা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলের নাক খানিকটা উঁচু , তার উপর জ্যোতির্ময় চমক। আর এ জন্য প্রথম দৃষ্টিতে বড় মনে হয়। গাল ছিল হালকা ও সমতল এবং নিচের দিকে একটু মাংসাল। (সিরাতে মুহাম্মদে আরবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ সাহেব কাসেমী)।
- চোখ : প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চক্ষুযুগলের মণি খুব কালো ছিল। চোখের পাতা ছিল খুব বড় এবং সর্বদা সুরমা লাগানোর মতো দেখাত।
- নাক: রাসুল (সা.)-এর নাক ছিল অতীব সুন্দর ও উঁচু।
- দাঁত: অতীব সুন্দর রজতশুভ্র দাঁত ছিল রাসুল (সা.)-এর। যা পরস্পর একেবারে মিলিত ছিল না, বরং সামান্য ফাঁকা ফাঁকা ছিল। হাসির সময় তাঁর দাঁত মুক্তার মতো চমকাত।
- তিনি ছিলেন পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও চমৎকার :
- তাঁর শুভ্রতা ছিল রৌপ্যের ন্যায় :
- তিনি ছিলেন ইবরাহীম (আঃ) এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ:
- ঘাড়, কাঁধ ও বুক:
- হস্তদ্বয় ও পদদ্বয়ের তালু এবং আঙ্গুলসমূহ ছিল মাংসল :
- অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পশম ও চুল: