ড. খলিলুর রহমান মাদানী

রমজানে ফজরের আযান ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে দেওয়া হয় কেন

প্রশ্ন                                                                                                         

রমজানে ফজরের আযান ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে দেওয়া হয় কিন্তু অন্যান্য সময় একটু দেরিতে দেওয়া হয় পার্থক্য কেন?

উত্তর                                                                                                       

بسم الله الرحمٰن الرحيم. حامدا و مصليا و مسلما

ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথেই আযান দিয়ে নামায পড়া যায়। আর সাধারণ অবস্থায় ফজরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া মুস্তাহাব। হাদিস শরিফে এসেছে- عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ أَسْفِرُوا بِالْفَجْرِ فَإِنَّهُ أَعْظَمُ لِلأَجْرِ.‏ ‘রাফি ইবনে খাদীজ (রা.) বর্ণনা করেন যে, আমি রাসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছি- তোমরা ইসফার অর্থাৎ চতুর্দিক ফর্সা হয়ে এলে ফজর আদায় করবে। কেননা এতে রয়েছে বিরাট সওয়াব।  [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৬৭২, তিরমিযি হাদিস: ১৫৪] কিন্তু জামাতের একটা মৌলিক উদ্দেশ্য হল লোকসমাগম হওয়া। রমজানে যেহেতু ফজরের আযানের পরপরই লোক সমাগম বেশি হয় তাই রমজানে ফজর নামাজ তাড়াতাড়ি পড়া মুস্তাহাব। এ জন্য রমজানে তাড়াতাড়ি আযান দেওয়া হয়। মাবসূত ১/১৪৬, ফয়জুল বারী: ২/১৩৬

আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।

و الله تعالى أعلم بالصواب

وصلى الله تعالى على رسوله وعلى آله وسلم